ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এর ভেতরে ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে গুলিও ছুঁড়েছে তারা। জিম্মি নাবিক মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের পরিবার এসব তথ্য জানিয়েছে। তারা জানায়, ৩০ থেকে ৩৫ জন জলদস্যু জাহাজ পাহারায় থাকছে পালাক্রমে।

ইতোমধ্যে জাহাজে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সব নাবিক সুস্থ আছেন। এদিকে, কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে তারা নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। কোনো অভিযানের পক্ষে তারা নন। অক্ষত অবস্থায় নাবিকদের ফিরিয়ে আনাই তাদের লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

এর আগে, জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আব্দুল্লাহ ও এর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশ হয়। তবে অভিযান চালানো হলে জিম্মি থাকা নাবিকদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাই জাহাজের নাবিকদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে– এমন কোনো অভিযানে সমর্থন নেই বলে জানায় জাহাজটির মালিকপক্ষ।

জিম্মি করার আট দিন পর গত বুধবার দুপুরে প্রথমবারের মতো এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করে সোমালি জলদস্যুরা। তবে এখনও কী আলোচনা হয়েছে, তা জানায়নি জাহাজের মালিকপক্ষ।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেয়। সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।